মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আরবের কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে
জন্ম গ্রহণ করেন।
মুহাম্মদ (সা:) এর পিতা ও মাতার নাম:
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ, মাতার
নাম আমিনা।
মহানবী (সাঃ) এর দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব, নানার নাম ওয়াহাব।
জন্মের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ধাত্রী মা হালিমার ঘরে লালিত
পালিত হন। হালিমা বনু সাদ গোত্রের লোক ছিলেন আর বনু সাদ গোত্র
বিশুদ্ধ আরবীতে কথা বলতে পারতো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)
বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় কথা বলতেন। শৈশব কাল থেকেই মহানবী
হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর মাঝে ন্যায় ও ইনসাফের নজির দেখা যায়।
তিনি ধাত্রী মাতার একটি স্তন পান করতেন আরেকটি তার দূধ ভাই
আবদুল্লাহ এর জন্য রেখে দিতেন ।
মহানবী (সাঃ) এর ৬ বছর বয়সে তার মত ইন্তিকাল করেন।
প্রিয় নবী (সা:) অসহায় হয়ে পড়লে তার লালন পালনের দায়িত্ব
নেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। আট বছর বয়সে তার দাদ ও মারা যান।
এরপর দায়িত্ব নেন চাচা আবু তালিব।
চাচা আবু তালিব অত্যন্ত আদর স্নেহ দিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে লালন
পালন করতে থাকেন। আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল থাকাই মহানবী (সা:)
মেষ চরাতেন। তিনি বার বছর বয়সে ব্যাবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যান।
যাত্রা পথে বহায়রা নামক এক পাদ্রীর সাথে দেখা হলে বহায়রা মোহাম্মদ
(সা:) কে অসাধারণ বলে এবং ভবিষ্যত বাণী করে বলেনঃ
'এই বালকি হবে শেষ যামানার আখেরি নবী (শেষ নবি)'
শৈশব কাল থেকেই মহানবী (সাঃ) ছিলেন সত্যবাদী ও সাহসী । সিরিয়া
থেকে ফিরে এসে তিনি ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলেন। কায়স
গোত্র অন্যাই ভাবে কুরাইশদের উপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় তাই এর নাম
হারবুল ফিজার বা অন্যাই যুদ্ধ।
তাই মহানবী (সা:) আরবের শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে হিলফুল ফুযুল
(শান্তি সংঘ) গঠন করলেন।
যুবক মুহাম্মদ (সা:) এর সত্যবাদিতা , ন্যায়পরায়ণতা, ও চারিত্রিক
গুণাবলীর সংবাদ মক্কার দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লো। তখনকার আরবের
শ্রেষ্ঠ সম্পদশালী বিদুষী ও বিধবা মহিলা হযরত খাদিজা (রা:)
রাসুল (সা:) এর সততা দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজেই হযরত মুহাম্মদ (সা:)
এর নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। বিয়ের সময় রাসূল (সা:) এর বয়স্
ছিল পঁচিশ এবং খাদিজা (রা:) এর বয়স্ ছিল চল্লিশ।
রাসূল (সা:) এর নবুয়ত প্রাপ্তি:
চল্লিশ বছর বয়সে ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে পবিত্র রমযান মাসের কদরের
রাতে হযরত জিবরাইল (অা:) তার নিকট ওহি নিয়ে আসেন এবং
তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
নবুয়ত প্রাপ্তির পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বিপথগামী
মক্কাবাসীর নিকট ইসলাম প্রচার আরম্ভ করেন।
৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে রাসূল (সা:) মক্কা
ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। মদিনায় সকল গোত্রের নেতাদের নিয়ে
তিনি একটি সনদ প্রণয়ন করেন যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত।
রাসূল (সা:) এর মক্কা বিজয় ও বিদায় হজ:
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে ১০,০০০ মুসলিম নিয়ে মক্কা অভিমুখে অভিযান
পরিচালনা করেন মহানবী (সা:) এবং বিনা রক্তপাতে তিনি মক্কা
বিজয় করেন। এসময় তিনি ইসলামের শত্রু আবু সুফিয়ান সহ আরো
অনককে ক্ষমা করেছিলেন।
মহানবী (সা:) ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে (দশম হিজরী) লক্ষাধিক সাহাবী নিয়ে
হজ করতে যান যা বিদায় হজ নামে পরিচত।
rasul (sm.) ar jiboni, rasul sm. er jiboni, rasul sa. er jiboni, rasul Muhammad sm. er jiboni, rasul sm. er makki jiboni, rasul sm. ar madani jiboni, last prophet sm. , holly prophet Muhammad sm., biography of muhammad sm. ,mohanobi sm. er jiboni, রাসুল (সাঃ) এর জীবনী, মহানবী (সা:এর জীবনী, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনী, মুহাম্মদ (সা:)এর জীবনী, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:), রাসূল (সাঃ),মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:), আখেরি নবী (সা:), প্রিয় নবীহযরত মুহাম্মদ (সা:),ফিজার যুদ্ধ, হিলফুল ফুজুল, নবুয়ত প্রাপ্তি, মাক্কীজীবন, মাদানী জীবন, মদিনা সনদ,
Post a Comment